কভিড- ১৯ এর সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে মহামারি প্রতিরোধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে টিকা কর্মসূচিও জোরদার করা হয়েছে। খবর সিনহুয়া’র।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপে সাত দিনে প্রতি এক লাখে নতুন করে ২৩০ জন করোনায় সংক্রমিত হয়েছে। বিশ্বে এটি সর্বোচ্চ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বে মহামারির মূল কেন্দ্র এখন ইউরোপ। শীতের শুরুতে করোনা মোকাবেলায় নানা বিধিনিষেধে শিথিলতা এবং টিকা প্রদানে অপর্যাপ্ততার কারণে সংক্রমণ বাড়ছে।
জার্মান রোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা রবার্ট কোচ ইন্সস্টিটিউট শুক্রবার বলেছে, দেশটিতে একদিনে ৫২ হাজার ৯৭০ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ২০১ জন।
অষ্ট্রিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে শুক্রবার বলা হয়েছে, দেশটিতে একদিনে ১৫ হাজার ৮০৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে যা মহামারি শুরুর পর সর্বোচ্চ।
এ ছাড়া সম্প্রতি ব্রিটেন, ফ্রান্স, পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি, স্লোভেনিয়া, গ্রিস, নেদারল্যান্ডস, আয়ারল্যান্ডসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে।
এ দিকে অষ্ট্রিয়ান সরকার শুক্রবার মহামারি নিয়ন্ত্রণে ২২ নভেম্বর থেকে দেশব্যাপী লকডাউন জারি করেছে। এ ছাড়া টিকা দেয়াও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
জার্মানির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ শুক্রবার সংক্রমণ সুরক্ষা আইনের সংশোধন অনুমোদন করেছে। মহামারি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যেই এ আইন সংশোধন করা হয়েছে।
নেদারল্যান্ডস করোনা মোকাবেলায় তিন সপ্তাহের কঠোর পদক্ষেপ ঘোষণা করেছে। এ ছাড়া করোনার টিকা দেয়ার কর্মসূচিও জোরদার করা হয়েছে।
এ ছাড়া ইতালি, গ্রিস, হাঙ্গেরি, সুইডেন, ক্রোয়েশিয়া এবং স্লোভেনিয়ায় লোকজনকে টিকা নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।