বিশ্বকাপের আগেই নেদারল্যান্ডস কোচ রায়ান কুক বলেছিলেন, তাঁদের স্বপ্নটা সেমিফাইনালের সমান বড়। দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্বকাপের অন্যতম বড় অঘটনের জন্ম দেওয়া নেদারল্যান্ডস অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস বলেছেন, এখানেই থামতে চান না তাঁরা।
প্রথম দুই ম্যাচে ডাচরা সুযোগ পেয়েছিল, সেটি বলাই যায়। তবে সেসব হারিয়েছে তারা, স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচের ফলে ছাপ পড়েনি সেটির। তবে ধর্মশালায় ব্যাটিংয়ে একেবারে খাদের কিনার থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে তারা পেয়েছে ঐতিহাসিক জয়। ১২ বছর পর বিশ্বকাপ খেলতে আসা দলটি প্রথমবারের মতো হারিয়েছে আইসিসির পূর্ণ সদস্য কোনো দেশকে।
এমন জয়ের পর নিজেদের বড় স্বপ্নের কথাটিই আরেকবার জানিয়েছেন ব্যাটিংয়ে আক্ষরিক অর্থেই নেদারল্যান্ডসকে নেতৃত্ব দেওয়া অধিনায়ক এডওয়ার্ডস, ‘আমরা দারুণ গর্বিত। অনেক প্রত্যাশা নিয়ে বিশ্বকাপে এসেছি এবার। অনেক ভালো খেলছিলাম, বেশ কয়েকজন ভালো খেলোয়াড় আছে। তবে আমরা জানি, বাকি ৯টি দলও অনেক ভালো। প্রথম জয়টি পেয়ে রোমাঞ্চিত, আশা করি আরও জয় আসবে।’
গত দুই ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে ভুগিয়েছে মিডল অর্ডারের ব্যাটিং। পাকিস্তানের বিপক্ষে ২ উইকেটে ১২০ রান থেকে ২০৫ রানেই অলআউট হয়ে গিয়েছিল তারা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও মাঝের ওভারগুলোয় পথ হারাতে বসেছিল নেদারল্যান্ডস। ১১২ রানেই হারিয়েছিল ৬ উইকেট।
সাত নম্বরে নামা এডওয়ার্ডস এরপর খেলেছেন ৬৯ বলে ৭৮ রানের অপরাজিত ইনিংস, ১৪০ রানে সপ্তম উইকেট হারানোর পরও নেদারল্যান্ডস বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ৪৩ ওভারে গেছে ২৪৫ রান পর্যন্ত। দক্ষিণ আফ্রিকাকে চাপে ফেলেছে সেটিই। ম্যাচ শেষে হাল না ছাড়ার কথাই বলেছেন এডওয়ার্ডস, ‘গত কয়েক ম্যাচে আমাদের বড় একটা সমস্যা ছিল বেশ কয়েকজন মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ইনিংসের শেষ ভাগের আগেই আউট হয়ে গিয়েছিল। আমাদের তাই লক্ষ্য ছিল খেলা শেষ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া। প্রথম দুটি ম্যাচেই আমরা ভালো অবস্থানে ছিলাম, মাঝে পথ হারিয়েছি। ভালো কিছু জুটি হয়েছে এবার শেষ দিকে।’
এডওয়ার্ডসের আজ বোলার পরিবর্তনও দারুণ ছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিস্ফোরক ব্যাটিং লাইনআপের বিপক্ষে তাঁরা নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে নেমেছিলেন বলেই বোঝা গেছে। ম্যাচ শেষে সে পরিকল্পনা কাজে লাগার খুশির কথাই জানিয়েছেন এডওয়ার্ডস, ‘সব দলই এখন এমন করে, আমরাও গবেষণা করেছি তাদের নিয়ে। তাদের সঙ্গে আগেও খেলেছি, যেটিও কাজে দিয়েছে। আমাদের ম্যাচআপ কখনো কাজ করে, কখনো করে না। ভালো লাগছে আজ কাজে এসেছে।’