অগ্রবর্তী সময়ের ককপিট
বাংলাদেশ রাজনীতি

আমরা অশান্তি চাই না: ওবায়দুল কাদের

বিএনপি জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক ও সাম্প্রদায়িকতার বিশ্বস্ত ঠিকানা বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলন মানে আগুন–সন্ত্রাস। বিএনপি জানান দিচ্ছে যে তারা আন্দোলনে সহিংসতার উপাদান যুক্ত করবে। মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত। আমরা ক্ষমতায় আছি, আমরা অশান্তি চাই না। আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট এএইচসি সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতা দেন ওবায়দুল কাদের।বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তারেক রহমান বলে, হাসিনা পালাবে, মন্ত্রীরা পালাবে। কিন্তু সে যে ১৪ বছর পালিয়ে আছে, সে কথা বলে না কেন? ২০০৮ থেকে পলাতক তারেক রহমান বলে হাসিনা পালাবে। শেখ হাসিনাও বলে না। এত বেয়াদব। আমরা বেগম খালেদা জিয়া বলি। ১৯ বছর ধরে যিনি ক্ষমতায় আছেন, সেই নেত্রীর নামটা সম্মানের সাথে উচ্চারণ করে না। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারেক রহমান শেখ হাসিনাকে ২১ আগস্ট মারতে চেয়েছে। জিয়াউর রহমান মেরেছে বঙ্গবন্ধুকে। মুফতি হান্নান বলেছে, হাওয়া ভবন থেকে তার (তারেক রহমান) নির্দেশ পেয়ে গ্রেনেড হামলা করেছে। তারেক রহমানের লোকেরা এখন আমাদের ভয় দেখান। বলেন, তারেক রহমান আসবে বীরের মতো। কাপুরুষের মতো যে পালিয়ে গেছে, সে বীরের মতো আসবে! এত বছরে যা ঘটল না, এখন তা ঘটবে, বিশ্বাস হয় না। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলনে বিশৃঙ্খলা দেখে ক্ষোভ ঝাড়েন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশের প্রসঙ্গ টেনে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যেখানে পাকহানাদার বাহিনীরা আত্মসমর্পণ করেছে, পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম সেরা ভাষণ, স্বাধীনতার ডাক, সেই স্মৃতি যেখানে, সেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাঁদের ভয় কেন? তারা যে মনে মনে, হৃদয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করেন না, এটা তারই প্রমাণ। পল্টনে কয়টা লোক ধরবে? ছোট্ট জায়গায় যাবে অঘটনের ভয়ে। অঘটন কে ঘটাবে? বিআরটিসির গাড়ি পুড়িয়ে অঘটন কে ঘটাবে? আপনারাই জানিয়ে দিলেন, কারা অঘটন ঘটাতে পারে। এ সময় সেতুমন্ত্রী কোম্পানীগঞ্জের আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বিবদমান দ্বন্দ্বের জেরে ঘটে যাওয়া সংঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর কাছে ক্ষমা চান। এর আগে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী ওরফে সেলিম। এতে সভাপতিত্ব করেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান। সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ ওরফে স্বপন, এস এম কামাল হোসেন, আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শিহাব উদ্দিন ওরফে শাহীন ও সহিদ উল্লাহ খান, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন প্রমুখ। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে সেতুমন্ত্রীর ছোট ভাই ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান ওরফে বাদলকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।

সম্পর্কিত খবর

বিশ্ব শান্তি রক্ষায় প্রথম অবস্থান :

gmtnews

সংসদে প্রশ্নোত্তর দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

gmtnews

সাম্প্রদায়িক অপশক্তি বিনাশে সরকার বদ্ধপরিকর: তথ্যমন্ত্রী

gmtnews

মন্তব্য করুণ

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই অপ্ট আউট করতে পারেন। স্বীকার করুন বিস্তারিত