অগ্রবর্তী সময়ের ককপিট
বাংলাদেশ রাজনীতি সর্বশেষ

অস্তিত্বহীন দলের সাথে বৈঠক বিএনপি’র রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব: তথ্যমন্ত্রী

অস্তিত্বহীন দলের সাথে বৈঠক বিএনপি’র রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব: তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, অস্তিত্বহীন দলের সাথে বৈঠক করায় বিএনপি’র দেউলিয়াত্ব প্রকাশ পাচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি ইদানিং যেসমস্ত দলের সাথে মিটিং করছে তাদের বাস্তবে কোন অস্তিত্ব নাই। এতে তারা একটি সংবাদ পরিবেশন করছে মাত্র আর এর ফলে বিএনপির রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বটাই প্রকাশ পাচ্ছে।’

তথ্যমন্ত্রী গতকাল সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী মহিলা লীগ আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

ড. হাছান বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশে পণ্যের মূল্য নিয়ে কথা বলছেন। অপরদিকে সাত সমুদ্র তের নদীর ওপার থেকে তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ব্যবসায়িদের ফোন করে পণ্য মজুদ করো, দাম বাড়াও, দেশে পণ্যের সঙ্কট সৃষ্টি করো বলে নির্দেশনা দিচ্ছেন। তাদের ঘরানার ব্যবসায়িরাসহ অন্যান্য ব্যবসায়িরা এই বার্তা পেয়ে উৎসাহিত হচ্ছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি নানা ধরণের বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। প্রতিদিন বিএনপি বিভিন্ন দলের সাথে মিটিং করছে। তাদের সাথে মিটিংয়ে যেসমস্ত দল হাজির হয় তাদের সঙ্গে মিটিংয়ের পর মানুষ জানতে পারে যে, এধরণের একটি দল দেশে আছে।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, বিএনপি নাকি ডান-বাম সবার ঐক্য প্রতিষ্ঠা করবে। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে ডান-বাম, অতিডান, অতিবাম ঐক্য করেছিল। সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্ঠার মাধ্যমে তারা নির্বাচনও করেছিলেন। ফলাফল বিএনপির ঘরে মাত্র পাঁচটি আসন। সুতরাং এইবারও সর্বোচ্চ সংখ্যক দলের সাথে মিটিং করে গতবারের চেয়ে বেশি ভালো ফল হবে বলে জনগণ মনে করেনা।

তিনি বলেন, ‘ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে, নির্বাচন পর্যন্ত আমরা মাঠে থাকবো। যদি তারা আবার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালায় তাহলে জনগণকে সাথে নিয়ে কঠোর হস্তে তাদের আমরা প্রতিহত করবো। সমগ্র বাংলাদেশে বিএনপি জামাত তাদের দোসরদের নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্ত্রাসীদের সমাবেশ ঘটিয়ে অছাত্র ও ছাত্রদের বাবাদের সমাবেশ ঘটিয়ে সেখানে তারা শ্লোগান দিয়েছে পঁচাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার। এই শ্লোগানের মধ্য দিয়ে তারা দুটো জিনিষ প্রমাণ ও স্বীকার করেছে। একটি হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ড জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে হয়েছে। আরেকটি কথা বলেছে তারা, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে।’

হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগ এই দেশের গণমানুষ ও খেটে খাওয়া মানুষের দল, আওয়ামী লীগের নেত্রাকর্মীরা রাজপথে সবসময় ছিল, রাজপথে আছে। ঢাকা-চট্টগ্রামে আমাদের আওয়ামী মহিলা লীগ ও যুব মহিলা লীগের কর্মীরা মাঠে নেমেছে। বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করার জন্য আমাদের নারী কর্মীরাই যথেষ্ট।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে সমগ্র পৃথিবীতে দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি। ইউরোপে এক ইউরোর তেল চার ইউরোতে বিক্রি হচ্ছে। এক ইউরোর রুটি দুই ইউরোতে বিক্রি হচ্ছে। সেখানে কোন কোন খাদ্য পণ্যের দাম দুই থেকে তিন’শ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের দেশে সেভাবে বৃদ্ধি পায়নি।

তিনি বলেন, ‘ আমরা লক্ষ্য করছি যুদ্ধ ও আমদানি নির্ভর পণ্যের অজুহাত দিয়ে কিছু কিছু মজুতদার চালসহ অন্যান্য খাদ্যপণ্য মজুত করছে। আমাদের সরকার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা শুরু করেছে। প্রয়োজনে আরো কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শুধু মামলা, জরিমানা নয় প্রয়োজনে তাদের গ্রেপ্তারও করা হবে।’

সম্পর্কিত খবর

চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ল আবার ১৬ জুন পর্যন্ত

News Editor

আমার প্রথম বক্তব্য শেখ হাসিনা লিখে দিয়েছিলেন

Zayed Nahin

প্রযুক্তির দিকে আরেক ধাপঃ বৈদ্যুতিক ট্রেন এখন বাংলাদেশে

gmtnews

মন্তব্য করুণ

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই অপ্ট আউট করতে পারেন। স্বীকার করুন বিস্তারিত